সিলেটে বন্যার পানি বাড়ছে, ইট-সিমেন্ট-বালুর দোকানে ভিড়

সিলেট নগরের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ ঠেকাতে ইট-সিমেন্ট-বালুর দোকানে ভিড় করছেন নগরবাসী। শুক্রবার নগরের কুয়ারপাড় এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

সিলেটে হু হু করে পানি বাড়ছে। উজানের নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পাশের সুনামগঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সিলেট নগরের অভ্যন্তরেও টানা বৃষ্টি ও সুরমা নদীর পানি উপচে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বসতবাড়িতে পানির প্রবেশ ঠেকাতে ব্যস্ত নগরের বাসিন্দারা। তাঁরা ইট, সিমেন্ট ও বালুর দোকানে ভিড় করছেন।

নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ ঠেকাতে বাসিন্দারা ইট, সিমেন্ট ও বালুর দোকানে ভিড় করছেন। ঠেলাগাড়ি, রিকশায় করে বাসাবাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন নির্মাণসামগ্রী।

নগরের শেখ ঘাট এলাকায় মেসার্স মুর্শিদ ব্রাদার্স নামের নির্মাণসামগ্রী বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, ইট, বালু ও সিমেন্ট কিনছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ওই দোকানে ইট, সিমেন্ট ও বালু খুচরা বিক্রি করা হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শাকিল মুর্শেদ বলেন, আজ কিছুটা দেরিতে প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। সকাল থেকে গ্রাহকেরা ফোন দিচ্ছিলেন। বাধ্য হয়ে দোকানে আসেন। তিনি বলেন, গ্রাহকেরা খুচরা বালু ও সিমেন্ট কিনছেন। প্রতি কেজি সিমেন্ট ১২ টাকা ও প্রতি ফুট বালু ১২ টাকায় বিক্রি করছেন।

নগরের জামতলা এলাকার বাসিন্দা খুরশেদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘরের প্রায় ছয় ইঞ্চি নিচে পানি। টানা বৃষ্টিতে পানি আরও বাড়বে। শুনেছেন কয়েক দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এমন অবস্থা চললে ঘরে পানি ঢুকবে। এ জন্য আগেই ইট, সিমেন্ট, বালু দিয়ে পানি প্রবেশের পথ বন্ধ করতে উদ্যোগ নিচ্ছেন।

নগরের কুয়ার পাড় এলাকার বাসিন্দা এ টি এম ইসরাত এসেছিলেন ৫০টি ইট, ১০ কেজি সিমেন্ট ও দুই ফুট বালু কিনতে। সেগুলো ঠেলাগাড়িতে তুলছিলেন একজন শ্রমিক। এ টি এম ইসরাত বলেন, ঘরের প্রবেশ ফটকে পানি ঢুকেছে। এখন ঘরে পানি প্রবেশ করতে পারে, এই শঙ্কায় ইট, সিমেন্ট কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, সেটা অব্যাহত থাকলে সন্ধ্যার আগেই ঘরে পানি ঢুকবে।

শেখঘাট এলাকার বাসিন্দা মাছুম আহমদ ও তাঁর বাবা সাজ্জাদ মিয়া। তাঁরা একটি রিকশা নিয়ে কুয়ার পাড় এলাকায় এসেছিলেন ইট-সিমেন্ট কিনতে। মাছুম বলেন, সকালে এসে দোকান বন্ধ পান। নগরের বিভিন্ন এলাকার ইট, সিমেন্টের দোকান ঘুরে দেখেছেন, কিন্তু খোলা পাননি। আর যেগুলো খোলা ছিল, সেগুলোতে খুচরা বিক্রি করা হচ্ছিল না। এ জন্য বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেখঘাট এলাকায় ইট-সিমেন্ট কিনতে আসেন।