সিলেটে মঙ্গলবার থেকে ফাইজারের টিকা, অগ্রাধিকার প্রবাসী ও বয়স্কদের

ফাইজারের করোনার টিকা
ফাইল ছবি

সিলেটে প্রথমবারের মতো ফাইজারের করোনার টিকা দেওয়া হবে। গত বুধবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিশেষ ভ্যানে করে ১৯ হাজার ৮৯০ ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল টিকাকেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হবে। ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে প্রবাসী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফাইজারের টিকা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। পাশাপাশি টিকা দেওয়ার আগমুহূর্তেও সেটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিতভাবে রাখতে হয়। এ জন্য অন্যান্য কেন্দ্রে টিকাটি দেওয়া হবে না। আগামী মঙ্গলবার থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে পরিচালিত এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে কেন্দ্রটিতে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হতো।

সূত্র জানায়, গত বুধবার রাতে সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় ফাইজারের টিকা পৌঁছানো হয়েছে। ফাইজারের একেকটি ভায়ালে ৬ ডোজ করে টিকা রয়েছে। সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের টিকা সংরক্ষণ কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩১৫টি ভায়াল দেওয়া হয়েছে। এই টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে প্রবাসী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের। যাঁরা টিকার জন্য মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাননি, তাঁদের টিকা দেওয়া হবে না। তবে প্রবাসীরা নিবন্ধন না করলেও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাঁদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য তাঁদের পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদর্শন করতে হবে।

মঙ্গলবার থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল টিকাকেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হবে। অন্যান্য কেন্দ্রে টিকাটি দেওয়া হবে না।

এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগরে বিভাগীয় পুলিশ লাইনস হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ে টিকা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে দুটি কেন্দ্রে সিনোফার্ম ও সিলেট সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফাইজারের টিকা দেওয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। টিকার জন্য অপেক্ষমাণ প্রায় ৮ হাজার প্রবাসীকে এ ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আমাদের চিন্তাভাবনা রয়েছে। এর বাইরে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম চালাব।’