সীতাকুণ্ডে ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টায়ও মামলা হয়নি

ইভিএম মেশিন
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন। গত সোমবার নির্বাচন চলাকালীন এক কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন আলম সফি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে একটি ইভিএম মেশিন ভাঙচুর করেন। এরপর আরেকটি ইভিএম মেশিন এনে ভোট গ্রহণ পুনরায় শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এতে প্রায় ২৫ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।

এ ঘটনায় আজ বুধবার পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা থানায় মামলা করেননি বলে জানিয়েছেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক। তিনি বলেন, ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিন মিনিটে দুর্বৃত্তরা ৩ নম্বর বুথের ইভিএম মেশিন ভাঙচুর করে তা পুরোপুরি বিকল করে দেয়। ২ নম্বর বুথের একটি মেশিনেও আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। তবে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

ঘটনার সময়কার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এম এ শহীদ ভূঁঞা প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ একদল লোক ভোটকেন্দ্রে ঢুকে তাঁর কার্যালয়ের ঠিক সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তিনিসহ কর্তব্যরত চার কর্মকর্তা আতঙ্কিত হয়ে একটি কক্ষে ঢুকে পড়েন। কক্ষটির দরজার ছিটকিনি লাগানো যাচ্ছিল না। পরে তাঁরা ঠেলে ধরে রেখেছিলেন। তিন মিনিট সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তরা ৩ নম্বর বুথের ইভিএম মেশিন ভাঙচুর করে তা পুরোপুরি বিকল করে দেয়। ২ নম্বর বুথের একটি মেশিনেও আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। তবে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এ সময় প্রচণ্ড ভয় পেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটদের ফোন দেন তিনি।

জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় কেন্দ্রপ্রধান থেকে লিখিত বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বাদী হয়ে মামলা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।