সীতাকুণ্ডে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন এক ডাকাত নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম–পরিচয় জানা যায়নি। আজ সোমবার ভোররাত চারটার দিকে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় সন্দেহভাজন ডাকাতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গত এক মাসে সীতাকুণ্ডে ১৩টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তিনটি ঘটনায় খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে সবকিছু লুট করে নেয় ডাকাতেরা। এতে ওই তিন পরিবারের শিশুসহ অসুস্থ ৩০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডাকাতের হাত থেকে বাঁচতে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে পাহারা জোরদার করেন। সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ড, মুরাদপুর ও সৈয়দপুরে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় যুবকেরা। এরই মধ্যে গণপিটুনির এই ঘটনা ঘটল।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রীতম চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তিকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর দুটি কান কেটে দেওয়া হয়েছে। মাথা, মুখসহ পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। রক্তক্ষরণ ও মাথায় আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন বলেন, আজ ভোররাত চারটার দিকে পাহারায় থাকা লোকজন মান্দারীটোলার দিকে এক ব্যক্তিকে দৌড়ে আসতে দেখেন। পরে মসজিদের মাইকে ডাকাত ডাকাত বলে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে জড়ো হতে বলেন। স্থানীয় লোকজন গিয়ে ওই ব্যক্তিকে পিটুনি দেন।

পুলিশ কর্মকর্তা সুমন বণিক প্রথম আলোকে বলেন, টহল পুলিশ নডালিয়া থেকে বেড়িবাঁধ হয়ে বাড়বকুণ্ডের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ১৩ থেকে ১৪ জন ডাকাতকে ক্যাপিট্যাল গ্যাস ফিল্ডের কাছে পুলিশ ধাওয়া করে। একজন ছাড়া বাকিরা নৌকায় করে সন্দ্বীপ চ্যানেলে পালিয়ে যান। লোকালয়ে ঢুকে ওই ডাকাত গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যান। পুলিশের ধারণা, পুরো ডাকাত চক্রটি সন্দ্বীপ থেকে নৌকায় করে সীতাকুণ্ডে এসে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হবে।