সীতাকুণ্ডে পাহাড়ধসের ঝুঁকি, ৩০ পরিবারকে সরানো হলো

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়
ফাইল ছবি

ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। এ কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুরের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ৩০ পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায়।

ইউএনও মিল্টন রায় প্রথম আলোকে বলেন, সীতাকুণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বজ্রপাতও হচ্ছে। এ কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় গতকাল রোববার মাইকিং করা হয়েছে। পরে সন্ধ্যার ঠিক আগমুহূর্তে জঙ্গল সলিমপুর পাহাড় থেকে ৩০ পরিবারকে কাছের আশ্রয়কেন্দ্রে নামিয়ে আনা হয়েছে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সীতাকুণ্ডে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সীতাকুণ্ডে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০০ মিলিমিটার। তবে রাতে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আজ সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে গতকালের বজ্রপাতে সীতাকুণ্ডে দুই ব্যক্তি নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। নিহত দুজন হলেন এসকান্দর হোসেন (৬০) ও আবদুল জলিল (৪০)। আহত তরুণের নাম বদরুল হাসান (১৮)।

নিহত এসকান্দর হোসেন পেশায় কৃষক ছিলেন। তাঁর বাড়ি মুরাদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাসনাবাদ গ্রামে। আবদুল জলিলের বাড়ি সোনাইছড়ি ইউনিয়নের হাফিজ জুট মিল কলোনি গেট এলাকায়। তিনি পেশায় জাহাজভাঙা কারখানার শ্রমিক ছিলেন। আহত বদরুল মুরাদপুরের হাসনাবাদ গ্রামের গ্রামের আবু বক্করের ছেলে। বদরুল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

ইউএনও মিল্টন রায় প্রথম আলোকে বলেন, সীতাকুণ্ডে বজ্রপাতে হতাহত হওয়ার ঘটনা বেড়ে চলায় জনসাধারণকে চলাচলে আরও সতর্ক হতে হবে।