সীতাকুণ্ডে শিবচতুর্দশী মেলা শুরু ১১ মার্চ, কর্মসূচি কাটছাঁট

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শিবচতুর্দশী মেলা শুরু হবে ১১ মার্চ। এবার করোনাভাইরাসের কারণে কিছু কর্মসূচি কাটছাঁট করা হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে বিশ্ব বৈদিক সম্মেলন, আলোচনা সভা ও মহোৎসব। তবে স্নান, তর্পণ, শ্রাদ্ধ,  চন্দ্রনাথ দর্শনসহ মঠমন্দিরে পূজা চলবে। অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও ভক্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে মাস্ক। আজ বৃহস্পতিবার মেলা কমিটি এসব তথ্য জানিয়েছে।

সীতাকুণ্ডের শিবচতুর্দশী মেলা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় মেলা হলেও এটি ঐতিহ্যগতভাবে সব ধর্মের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। মেলা কমিটি জানিয়েছে, ইতিমধ্যে মেলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো চারটি আন্তনগর ট্রেন দুই মিনিটের জন্য যাত্রা বিরতি করবে। এ ছাড়া সীতাকুণ্ড থেকে ঢাকা যেতে চাইলে কুমিরা রেলস্টেশনে যেতে হবে। সেখানে ঢাকামুখী মহানগর ও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়াবে।

মেলা কমিটি সূত্রে জানা যায়, মূল শিবচতুর্দশী তিথি শুরু হবে ১১ মার্চ বেলা ৩টা ১২ মিনিট ৪ সেকেন্ডে। শেষ হবে ১২ মার্চ বেলা ৩টা ৪৬ মিনিটে। এরপর অমাবস্যা শুরু হবে। পুণ্যার্থীরা পৌর সদর থেকে চন্দ্রনাথ, বিরূপাক্ষসহ অর্ধশতাধিক মঠমন্দির পরিভ্রমণ করবেন।

মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পলাশ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, করোনার কারণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাঁদের বেগ পেতে হবে। তবে এবার প্রতিটি মঠমন্দিরে, বিশেষ করে স্বয়ম্ভুনাথ মন্দির, বিরূপাক্ষ ও চন্দ্রনাথ মন্দিরে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা সারি করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়ক থেকে চন্দ্রনাথ মন্দির পর্যন্ত যতগুলো ওঠানামার পথ রয়েছে, সব পথ তাঁরা র‌েকি করেছেন। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

বিশাল এ মেলা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন মেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায়। তাঁরা বলেন, যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তাঁরা। তীর্থযাত্রীরা কোনোরকম বিড়ম্বনা ছাড়াই তীর্থদর্শন সম্পন্ন করে ফিরে যেতে পারবেন।