সীতাকুণ্ডে সাংসদের জাহাজভাঙা কারখানা বন্ধ, তদন্ত কমিটি গঠন

চট্টগ্রাম জেলার মানচিত্র

দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলমের মালিকানাধীন মেসার্স তাশিন স্টিল লিমিটেড নামের একটি জাহাজভাঙা কারখানা সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার কারণ উদ্‌ঘাটনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অপর সদস্য হলেন সেফটি এজেন্সি মিতি এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান এনাম চৌধুরী। ঘটনাটি তদন্ত করে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবারকে কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে মন্ত্রণালয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সোহেলা নাসরীন স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত তিনটি পৃথক চিঠি আজ বুধবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। চিঠিগুলোতে স্বাক্ষরের পাশে ৯ মার্চ তারিখ লেখা।

জাহাজভাঙা কারখানায় দুর্ঘটনা হলে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত করা হয় এবং কারখানাটির সব ধরনের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আমার কারখানার ক্ষেত্রে সে রকমই ঘটেছে।
দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সাংসদ ও কারখানার মালিক

চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারখানার মালিক চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সাংসদ দিদারুল আলম। তিনি বলেন, জাহাজভাঙা কারখানায় দুর্ঘটনা হলে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত করা হয় এবং কারখানাটির সব ধরনের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তাঁদের ক্ষেত্রে সে রকমই ঘটেছে।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় সাগরপাড়ে সীতাকুণ্ডে সাংসদ দিদারুল আলমের মালিকানাধীন মেসার্স তাশিন স্টিল লিমিটেড নামের জাহাজভাঙা কারখানায় কাজ করার সময় এক শ্রমিক নিহত হন।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় সাগরপাড়ে সীতাকুণ্ডে সাংসদ দিদারুল আলমের মালিকানাধীন মেসার্স তাশিন স্টিল লিমিটেড নামের জাহাজভাঙা কারখানায় কাজ করার সময় এক শ্রমিক নিহত হন।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রশিক্ষণবিহীন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে জাহাজভাঙা কারখানা নিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবারকে কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠি আজ কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। চিঠি অনুযায়ী কারখানা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।