সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক: সওজের উচ্ছেদ অভিযানে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

  • অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

  • স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণকারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিচ্ছেন সওজের লোকজন।

সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। এসব স্থানে প্রকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ অভিযোগ তুলেছে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি এবং জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে তারা। এ সময় সুনামগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলামের অপসারণ ও সরকারি আদেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের আশপাশে সওজের শতকোটি টাকার জমিতে স্থায়ী স্থাপনা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উচ্চ আদালত ও সওজ অধিদপ্তরের আদেশ মানছেন না সুনামগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম। সড়কের পাশে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা থাকবে না, এমন নির্দেশনা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সওজ কর্তৃপক্ষ। বারবার ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের নামে তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। প্রকৃত স্থাপনা উচ্ছেদে সওজ কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। এতে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকায় দিনের বেশির ভাগ সময়ে যানজট লেগে থাকে। যে কারণে জনগণের দুর্ভোগ কমছে না।

জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. জমসেদ আলী বলেন, ওই স্থানে সওজের জমিতে অবৈধভাবে স্থায়ী স্থাপনা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণকারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিচ্ছেন সওজের লোকজন। পাশের খালের ওপর থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুনামগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে যেসব স্থানে সওজের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সওজের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে কেউ অবগত করলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’