সুনামগঞ্জে আরও ৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জে কোভিড-১৯-এ (করোনাভাইরাস) আরও ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৪। সুনামগঞ্জে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮১ জন। মারা গেছেন তিনজন।

নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ৩৪ জনের মধ্যে ২২ জনই জেলার ছাতক উপজেলার। অন্যদের মধ্যে জামালগঞ্জ উপজেলায় পাঁচজন, তাহিরপুর উপজেলায় দুজন, দোয়ারাবাজার উপজেলায় তিনজন, বিশ্বম্ভরপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় একজন করে রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৯৪ জন, ছাতক উপজেলায় ৭৩ জন, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ২৭ জন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ১৫ জন, তাহিরপুর উপজেলায় ১৬ জন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ১৪ জন, জগন্নাথপুর উপজেলায় ১৭ জন, শাল্লা উপজেলায় ১১ জন, ধরমপাশা উপজেলায় ১৭ জন, জামালগঞ্জ উপজেলায় ১৩ জন ও দিরাই উপজেলায় ৭ জন রয়েছেন। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ৬৬ জন, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী ৩১ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বাদে উপজেলাগুলোর মধ্যে ছাতক উপজেলা আক্রান্ত বেশি। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া তিনজনের বাড়িই ছাতকে।

সুনামগঞ্জে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ঈদের দিন (২৪ মে) পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮২। ঈদের পর ১৩ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২২২ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা বলেছেন, ঈদের পর লকডাউন শিথিল হওয়া এবং মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা এবং সচেতন হওয়ার আহ্বান জানালেও তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে মানুষের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা কম।

রোববার পর্যন্ত জেলায় ৪ হাজার ৪৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ফলাফল জানা গেছে ৩ হাজার ৭৯২ জনের। প্রথমে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হতো সিলেটে। কিন্তু সেখানে নমুনাজট দেখা দেওয়ায় পরে সুনামগঞ্জ থেকে কিছুদিন নমুনা সরাসরি ঢাকায় পাঠানো হয়। এখন নমুনা সংগ্রহের পর পাঠানো হচ্ছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে।

জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন বলেন, ‘সুনামগঞ্জে এখন আগের চেয়ে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। ঈদের পরই শনাক্ত হয়েছে বেশি। আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকেরই তেমন কোনো উপসর্গ নেই। এর মধ্যে কাউকে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা দরকার হলে আমরা তাঁদের আনছি।’