সুনামগঞ্জে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের ধরমপাশায় রাতে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে এক গৃহবধূ তরুণীকে (২১) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার দুই যুবককে গ্রেপ্তারে করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার যুবকেরা হলেন উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের ইছামারী গ্রামের বাসিন্দা ওয়াহিদ মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম (২৮)।

পুলিশ সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনাটি গত রোববার রাতের। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে মামলা করেন। আজ বুধবার ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ওই গৃহবধূ (২১) তাঁর কিশোরী বোনকে (১৫) নিয়ে টাঙ্গাইল থকে ধরমপাশায় বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু বাড়ির কাছাকাছি এক গ্রামে এসে রাত হয়ে যাওয়ায় বাকি পথটুকু যেতে কোনো যানবাহন মিলছিল না। বিপাকে পড়ে আশ্রয় নেন দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী টাঙ্গাইলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। গত রোববার ওই গৃহবধূ তাঁর কিশোরী বোনকে (১৫) নিয়ে সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু ধরমপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের ইছামারী গ্রামের কাছে এসে রাত হয়ে যাওয়ায় বাকি পথটুকু যেতে কোনো যানবাহন মিলছিল না। বিপাকে পড়ে একপর্যায়ে দুই বোন ওই এলাকায় দূরসম্পর্কের আত্মীয় ওয়াহিদ মিয়ার বাড়িতে যান। ওয়াহিদ মিয়া এ সময় দুই বোনকে রাতটুকু তাঁর বাড়িতে কাটাতে অনুরোধ করেন। নিরুপায় হয়ে দুই বোন ওই বাড়িতে আশ্রয় নেন।

এ সময় ওই বাড়িতে ওয়াহিদ মিয়া ছাড়া আর কেউ ছিল না। রাত আটটার দিকে তাঁরা খাবার খান। এরপর ওয়াহিদ মিয়া ওই গৃহবধূকে বাড়ির অন্য একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় সেখানে একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে ধর্ষণে সহায়তা করেন। গৃহবধূর চিৎকারে এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে রাতেই ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়। গ্রামের লোকজন রাতেই দুই বোনকে তাঁদের নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন।

পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজন ও বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে জানান ওই গৃহবধূ। চেয়ারম্যান বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে ওই গ্রামে গিয়ে ওয়াহিদ ও আমিরুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর ওই রাতে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই দুই ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।

ধরমপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রেপ্তার দুজনকে আজ বুধবার আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।