সুনামগঞ্জে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিল

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ছাত্রদল। আজ বুধবার সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায়
প্রথম আলো

সুনামগঞ্জে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রতিবাদে আজ বুধবার সকালে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ছাত্রদলের কয়েকটি শাখার নেতা-কর্মীরা। একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হওয়া তারেক রহমানের বক্তব্যের জেরে গত সোমবার ওই মামলা হয়।

শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশ শুরুর আগে বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের সদর উপজেলা, পৌরসভা ও সরকারি কলেজ শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সমাবেশে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক দাবি করে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রমজানুল করিম, সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইব্রাহিম মিয়া, সদস্যসচিব সাদিকুর রহমান। অন্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ওমর ফারুক, পৌরসভা শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মমীনুর রহমান, পৌর ডিগ্রি কলেজের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া হাসান, মইনুল হক কলেজের আহ্বায়ক কয়েছ আহমদ প্রমুখ।

ওই ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত বক্তব্যে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক বলায় তারেক রহমানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মইনুল ইসলাম (৪৭)। তাঁর বাড়ি সিলেটের মোগলাবাজার থানার রায়খাইল গ্রামে।

বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক। উভয় দেশেই তাঁর ব্যবসা আছে। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গত বছরের ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন। পরে ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসন রাজা জাদুঘর পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করার সময় ইউটিউবে ‘Tarique Rahman’ নামের চ্যানেলে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর আপলোড করা একটি ভিডিও দেখতে পান। এতে তারেক রহমান তাঁর বাবা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে বক্তব্য দেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আখতারুজ্জামান সেলিম জানান, বাদী ডিজিটাল মাধ্যমে তারেক রহমানের এ বক্তব্য দেখে ও শোনে ক্ষুব্ধ হয়ে মামলাটি করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সদর মডেল থানা-পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।