সুনামগঞ্জে বাসে ধর্ষণচেষ্টা: চালকের সহকারীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

ধর্ষণচেষ্টা
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ওই বাসের চালকের সহকারী আবদুর রশিদ (২৭) আজ মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাঁকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ দুপুরে সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাগিব নূরের আদালতে আবদুর রশিদ হাজির করে। তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আশেক সুজা মামুন।

এর আগে গত রোববার রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বুরাইয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা। গতকাল সোমবার তাঁকে সুনামগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রশিদ ছাতকের কামরাঙ্গীরচর গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে।

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে গত শনিবার বিকেলে চলন্ত বাসে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বাসের চালক ও তাঁর সহকারী। নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে বাস থেকে লাফ দেয় ওই ছাত্রী। এতে সে গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে সে সিলেটে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার রাতেই দিরাই থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক সিলেটের নগরের জালালাবাদ থানার মোল্লারগাঁও এলাকার বাসিন্দা শহিদ মিয়া, তাঁর সহকারী আবদুর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। শহিদ মিয়াকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে সিলেটের লামাকাজী এলাকায়। লামাকাজী এলাকায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের পাশেই তাঁদের বাড়ি। বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ছোট বোন। শনিবার দুপুরে সিলেট থেকে দিরাইগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে তাকে তুলে দেন তার বড় বোনের স্বামী।

এরপর বাসটি পথে পথে যাত্রী ওঠানামা করে আসে। একপর্যায়ে বাসটিতে ওই ছাত্রী একা হয়ে পড়ে। দিরাইয়ের সুজানগর এলাকার পর বাসের চালক তাঁর সহকারীকে বাস চালাতে দিয়ে নিজের আসন ছেড়ে উঠে আসেন। পরে তিনি বাসের ভেতর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ধস্তাধস্তির এক ফাঁকে মেয়েটি বাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ে। এতে সে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। পথচারীরা তাকে রাস্তায় পেয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।