সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়: আওয়ামী লীগের আনন্দ শোভাযাত্রা

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের আনন্দ শোভাযাত্রা। শনিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরে
প্রথম আলো

‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ বিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনিকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ এ আয়োজন করে।

গত বুধবার বিলটি পাস হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখার হাওরপারে স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। হাওরটি সুনামগঞ্জ সদর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ছাতক ও দোয়ারবাজার উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত।

গত বুধবার ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ বিল পাস হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখার হাওরপারে স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আজ দুপুরের পর থেকে সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জেলা শহরের হুসেন বখত চত্বরে জড়ো হতে থাকেন। শোভাযাত্রা বের হয় বিকেল সাড়ে চারটায়। এর আগে হুসেন বখত চত্বরে সমাবেশ হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) সাংসদ মুহিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল আজাদ, দপ্তর সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী, সদস্য আতিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জেলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

জননেত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ আর সুনামগঞ্জকে একভাবে দেখেন বলেই হাওর এলাকার এত উন্নয়ন হচ্ছে।
এনামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। জেলার সাংসদেরাও আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। তাই সুনামগঞ্জের আরও উন্নয়ন হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ আর সুনামগঞ্জকে একভাবে দেখেন বলেই হাওর এলাকার এত উন্নয়ন হচ্ছে। আর এই উন্নয়নের পেছনে যিনি শ্রম দিচ্ছেন, আন্তরিকভাবে কাজ করছেন, তিনি সুনামগঞ্জের কৃতী সন্তান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছিল। জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলার চারজন সাংসদের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হয়েছেন।