সুনামগঞ্জে হেফাজত থেকে আসামির পলায়ন, ৫ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

সুনামগঞ্জে কারাগার থেকে আদালতে আনা হত্যা মামলার এক আসামি পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিন সদসের একটি কমিটি করা হয়েছে।
আদালত এলাকা থেকে পালানো ওই আসামির নাম ইকবাল হোসেন (৩৫)। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উস্তেঙ্গেরগাঁও গ্রামে। তিনি স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার আসামি। ২০১৭ সালের ১৩ জুন ইকবাল হোসেনের ঘরের পাশের জঙ্গল থেকে মনোয়ারা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে মনোয়ারা বেগমের মা আমিনা বেগম বাদী হয়ে ইকবাল হোসেনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে থাকা মামলার বিচারকাজ চলছে। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। গতকাল বুধবার ছিল মামলার নির্ধারিত তারিখ। সকালে আদালতে হাজিরা দিতে অন্য আসামিদের সঙ্গে তাঁকে কারাগার থেকে প্রথমে কোর্ট হাজতে নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁকে আদালতে হাজিরও করা হয়। কিন্তু বিকেলে কোর্ট হাজত থেকে আসামিদের আবার যখন কারাগারে নেওয়া হবে, তখন দেখা যায় ইকবাল হোসেন নেই। তিনি কখন, কীভাবে পালিয়েছেন সেটা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

বিষয়টি জানাজানি হলে ইকবাল হোসেনকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু আজ বৃস্পতিবার বেলা একটা পর্যন্ত তাঁকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে তাঁদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে আজ সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হায়াতুন নবীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, তদন্ত কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় যাঁদের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলাতক ইকবাল হোসেনকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।