তাঁর নাম অনেকে জানেন না। কিন্তু ‘ভাই’ বললেই শহরের মানুষ, ক্রীড়াঙ্গনের সতীর্থরা তাঁকে চিনতেন। ছোট-বড় সবাই তাঁকে ভাই বলে ডাকতেন। খেলাধুলার সব শাখায় তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল। তিনি নিজে যেমন মাঠে খেলেছেন, তেমনি সুনামগঞ্জের খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে জীবনভর কাজ করেছেন। সুনামগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গন এই ভাইকে বহুদিন মনে রাখবে।
সুনামগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গনের এই ‘ভাই’ হলেন অকালপ্রয়াত শাহ আবু জাকের। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর স্মরণে আয়োজিত সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে সুনামগঞ্জের প্যারামাউন্ট ক্রিকেট ক্লাব।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ জুলাই ৫২ বছর বয়সে মারা যান শাহ আবু জাকের।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, শাহ আবু জাকের দীর্ঘিদিন সুনামগঞ্জ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সালে সুনামগঞ্জ প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে খেলেন। জেলা রেফারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৪ বছর জেলা আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন প্যারামাউন্ট ক্লাবের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি সুনামগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গনের মধ্যমণি ছিলেন। তাঁর অকালমৃত্যু সুনামগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
প্যারামাউন্ট ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল বখতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এনাম আহমদের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ চৌধুরী, সাবেক ক্রিকেটার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান পীর, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সেলিম, সাবেক ক্রিকেটার সিরাজুর রহমান ও নাদির আহমদ, সুনামগঞ্জ ফুটবল একাডেমির পরিচালক সৌমিত্র রায় তাপস, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল নোমান, সাবেক ক্রিকেটার অনীশ তালুকদার, মাহবুবুল হাসান শাহীন, জি এম তাশহিজ, আবুল হাসনাত কাওসার, প্যারামাউন্ট ক্লাবের অধিনায়ক মাহবুব আলম মিসবাহ প্রমুখ।