সুনামগঞ্জের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে

জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ত্রাণ বিতরণের আগে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী
ছবি: প্রথম আলো

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বর্তমান সরকার বন্যাকবলিত মানুষের পাশে রয়েছে। এই সরকারের শাসন আমলে কোনো মানুষ খাদ্যসংকটে ভুগবে না। সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত অঞ্চলের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে এ প্রকল্প গ্রহণে সম্মতি দিয়েছেন।

আজ শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ত্রাণ বিতরণের আগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, বর্তমান সরকার সব দুর্যোগ মোকাবিলায় সফল। এবারের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে। বন্যা–পরবর্তী পুনর্বাসনের কাজেও সরকার মনোযোগী থাকবে। দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে সমন্বয়ের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

সরকারের পাশাপাশি প্রবাসী ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় বন্যা মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। পুনর্বাসন, রাস্তাঘাট মেরামতসহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে সব প্রচেষ্টা চালানো হবে।

ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুন্দর আলী। সভা পরিচালনা করেন রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম। এতে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) শুভাশীষ ধর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মাহাতাবুল হাসান সমুজ প্রমুখ।

পরে ত্রাণ বিতরণ শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী রানীগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র ও কুশিয়ারা নদীর ওপর রানীগঞ্জ সেতুর কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেতু উদ্বোধনের আশা প্রকাশ করেন।