সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলা চ্যানেলে পাড়ি দিচ্ছেন ৯ সাঁতারু

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলা চ্যানেলে বিশেষ সাঁতার দিচ্ছেন ৯ সাঁতারু। এর মধ্যে পাঁচজন টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন দুবার পাড়ি দেবেন। সোমবার সকালে সেন্ট মার্টিন সৈকত থেকে তোলা
প্রথম আলো

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে বঙ্গোপসাগরের বাংলা চ্যানেলে নয়জন সাঁতারু বিশেষ সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের এই স্রোতোধারার নাম বাংলা চ্যানেল। এর মধ্যে পাঁচজন দুবার সাঁতার (ডাবল ক্রস) ও চারজন একবার (সিঙ্গেল ক্রস) সাঁতারে অংশ নেবেন।

আজ সোমবার ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে পাঁচজন ডাবল সাঁতার শুরু করেছেন। এই সাঁতারের আয়োজক ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা।

ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী ও রেকর্ডসংখ্যক ১৬ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সাঁতারু লিপটন সরকার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ দুবার পাড়ি দিচ্ছেন পাঁচজন সাঁতারু। সেন্ট মার্টিন-শাহপরীর দ্বীপ-সেন্ট মার্টিন দুবার পাড়ি দেওয়ার জন্য সাঁতার শুরু করেছেন সাঁতারু মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ শামুসুজ্জামান আরাফাত, মো. সাইফুল ইসলাম রাসেল, মো. এরশাদ খান মুর্শেদ ও মো. রাব্বি রহমান। তাঁরা আজ ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে সেন্ট মার্টিন থেকে সাঁতার শুরু করেছেন। তাঁরা শাহপরীর দ্বীপ পৌঁছাবেন। এরপর শাহপরীর দ্বীপ থেকে আবার সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা করবেন। এটাকে বলা হয় ডবল ক্রস।

অন্যদিকে, আজ সকাল ১০টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ থেকে সিঙ্গেল ক্রস সাঁতার শুরু করে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন চার সাঁতারু। এই চারজন হলেন পবিত্র কুমার দাশ, অর্ণব বিশ্বাস, দিপঙ্কর বিশ্বাস ও লিপটন সরকার।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লিপটন সরকার বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমরা কয়েকজন সাঁতারু এই বিশেষ আয়োজনে অংশ নিচ্ছি। আমাদের এই সাঁতার আয়োজন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর একটি উদ্‌যাপন বলে মনে করি।’