‘সুস্থ শরীর ও মন গড়ার শপথে চলো হাঁটি একসাথে’

সকালে হাঁটা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তরুণ-তরুণীরা। শুক্রবার সকালে সিলেটের জিন্দাবাজার এলাকায়
ছবি: আনিস মাহমুদ

সকাল সাড়ে ছয়টায় ৪০–এর বেশি তরুণ-তরুণী একসঙ্গে হাঁটা শুরু করেন। টানা চার কিলোমিটার হেঁটে তাঁরা পত্রিকা কিনে রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। এরপর নিজেদের বাসার উদ্দেশে হেঁটেই রওনা হন। এখন থেকে তাঁরা সকালে নিয়মিত হাঁটবেন আর পাঠাভ্যাস বাড়াতে পত্রিকা পড়বেন।

‘সুস্থ শরীর ও মন গড়ার শপথে চলো হাঁটি একসাথে’ স্লোগান নিয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সদস্যরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টায় ছিল উদ্বোধনী কর্মসূচি। নগরের রিকাবীবাজার এলাকার কবি নজরুল অডিটরিয়ামের সামনে থেকে হাঁটা কর্মসূচি শুরু হয়।

বন্ধুসভার তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন সিলেট রানার্স কমিউনিটি ও সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির ১৫ জন সদস্য। তাঁরা সারিবদ্ধভাবে ফুটপাত আর রাস্তার কিনার ধরে হাঁটতে হাঁটতে কিনব্রিজ এলাকায় যান। এরপর তাঁরা সেখান থেকে নগরের বারুতখানা এলাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে মিলিত হন।

শরীর ও মন সুস্থ-সবল রাখতে সকালে হাঁটা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সদস্যরা। শুক্রবার সকালে সিলেটের কিনব্রিজ এলাকায়
ছবি: আনিস মাহমুদ

প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সভাপতি তামান্না ইসলাম বলেন, সুস্থ শরীর ও সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। হাঁটা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনি মনের জন্যও ভীষণ উপকারী। করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে স্বাস্থ্য ও মন—দুটোই সুস্থ রাখা জরুরি। তাই সকালে উঠে হাঁটার কোনো জুড়ি নেই। এটি বিবেচনায় নিয়েই এখন থেকে প্রতিদিন সকালে বন্ধুসভার সদস্যরা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সম্মিলিতভাবে হাঁটবেন। পাশাপাশি মানসিকভাবে নিজেকে সতেজ রাখতে সকালবেলা পত্রিকা পাঠাভ্যাসের কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।

বন্ধুসভার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সিলেট রানার্স কমিউনিটি ও সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন ওরাকাতুল জান্নাত বলেন, ‘যেকোনো ভালো বিষয়ে যুক্ত হওয়া জরুরি। প্রথম আলো বন্ধুসভা তরুণদের নিয়ে কাজ করছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক আমাদের জন্য। হাঁটার এ অভ্যাস সবাইকে শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল রাখতে সহায়তা করবে।’