সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার নিজের ঘর হলো ৪৮ বছর পর

রেললাইনের ধারের বস্তিতে ৪৮ বছর কাটানোর পরে মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন গতকাল নিজের ঘর পেলেন
ছবি: প্রথম আলো।

রেললাইনের ধারের বস্তিতে ৪৮ বছর কাটানোর পরে মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন এবার নিজ ঘুরে ঘুমাবেন। একটি প্রতিবেদন দেখে নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ আট মাস আগে তাঁকে দেখতে এসে একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। গতকাল শনিবার জেলা প্রশাসক সেই ঘর হস্তান্তর করেছেন।

বস্তি থেকে ২০০ গজ দূরে নাটোরের লালপুরের চংধুপইল ইউনিয়নের গোকন্দা গ্রামে আমজাদ হোসেনকে বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ১৯ জুন প্রথম আলোতে ‘অসহায় মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ এখন যাবেন কোথায়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ খবর দেখে ২৯ জুন বিকেলে নাটোরের জেলা প্রশাসক ওই মুক্তিযোদ্ধার বস্তির ঘরে যান। তাকে একটি বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তখন।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ প্রথম আলোতে ‘রেললাইনের ধারে ৪৬ বছর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধার গেজেটে আমজাদ হোসেনের নাম ওঠে। খবর পেয়ে তার বস্তির ঘরে দেখা করতে গেলে উচ্ছেদের নোটিশ বের করে দেখান। এক হাতে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট আরেক হাতে উচ্ছেদের নোটিশ নিয়ে সে সময় কাঁদছিলেন তিনি।

বর্তমানে আমজাদ হোসেনের বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) এর জেলা প্রশাসকের বরাদ্দ (প্রথম পর্যায়) থেকে দুর্যোগ সহনীয় গৃহনির্মাণ প্রকল্পের আওতায়। বাড়ি পেয়ে আমজাদ হোসেন বলেন, বস্তিতে তাঁর যে ঘর ছিল কাঁচা। এবার তিনি পাকা ঘর পেয়েছেন। আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়ি পাওয়ার খবরডা ইন্টারনেটে দিয়া দেন।’

আমজাদ হোসেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এরপর আনসার বাহিনীতে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধে অংশ নেন।