সেতু ভেঙে খালে, এখন ভরসা বাঁশের সাঁকো

স্থানীয়রা বলেন, পাউবো খাল খনন করার সময় সেতুর নিচেও খনন করে। পরে পাহাড়ি ঢলে সেতুটি ভেঙে যায়।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলা গ্রামের পাকা সেতুটি ভেঙে গেছে। সেতু দিয়ে আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এ অবস্থায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে তাঁরা চলাচল করছেন। সম্প্রতি চান্দলা ইউনিয়নেপ্রথম আলো

খালের ওপর নির্মিত সেতুর অর্ধেকটা ভেঙে পানিতে পড়ে আছে। তাই খাল পারাপারের জন্য স্থানীয় লোকজন সেতুর ভাঙা অংশে নির্মাণ করেছেন বাঁশের সাঁকো। এ সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ১০ গ্রামের মানুষ। এ অবস্থা কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামে সেতুটির।

স্থানীয় লোকজন বলেন, গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) খাল খনন করার সময় ওই সেতুর নিচের অংশও খনন করে। পরে পাহাড়ি ঢলে সেতুটি ভেঙে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর ভাঙা অংশটুকু বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছেন মানুষজন। ফলে এখন আর কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। স্থানীয় লোকজন বলেন, প্রায় ১২ বছর আগে চান্দলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খলিফা পাড়া এলাকায় স্থানীয় এ খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চরের পাথর, খলিফাপাড়া, নোয়াপাড়া, লালখার, মিয়া বাড়ি, শান্তিনগরসহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ এ সেতু দিয়ে চলাচল করেন।

চান্দলা ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) খাল খননের সময় সেতুর নিচের অংশও খনন করে। ওই সময় এলাকাবাসী সেতুর নিচের অংশ খনন করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু খননের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাঁদের কোনো কথা আমলে নেননি। তাঁরা খনন যন্ত্র দিয়ে সেতুর নিচের মাটি সরিয়ে নেন। পরে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সেতুটি খালে ধসে পড়ে।

খলিফাপাড়া এলাকার বাসিন্দারা বলেন, প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, হাটবাজার ও কর্মস্থলে যাতায়াতকারী কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। অন্যদিকে মালপত্র আর কৃষিপণ্য নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে। এখানে দ্রুত নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা উচিত।

তবে পাউবোর কুমিল্লা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ বলেন, খাল খননের জন্য সেতুটি ভেঙে যায়নি। খাল খননের জন্য ভেঙে গেলে আরও আগে ভেঙে যেত। অন্য কোনো কারণে সেতুটি ভেঙে পড়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চান্দলা-খলিফাপাড়া সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ওই প্রস্তাব অনুমোদন হলে কাজ শুরু করা হবে।