সেতুর নিচে খনন, পিলার দেবে চলাচল বন্ধ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পাঁচবিবি-কামুদিয়া সড়কের তুলসীগঙ্গা নদীর ফিচকাঘাট সেতুর একটি পিলারের গোড়া ফেটে নিচে দেবে গেছে। এতে ১০ দিন ধরে ওই সেতুর ওপর দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ওই সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, তুলসীগঙ্গা নদীতে খননকাজ চলছে। ৩ নম্বর পিলারের নিচে অপরিকল্পিতভাবে গভীর খনন করায় ২১ মার্চ তা ফেটে নিচে দেবে যায়। এ জন্য খননকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক প্রকৌশলীকে দুষছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুটির উভয় দিকে বাঁশ দিয়ে পথ বন্ধ করা হয়েছে। উত্তর পাশে নদীতে চলাচলের জন্য মাটির রাস্তা বানানো হয়েছে। পথচারী ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা সে রাস্তা দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে। তবে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

ফিচকাঘাট এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশ স্বাধীনের আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতুটি পুরোনো হলেও চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি। আমিনুর রহমান নামের একজন বলেন, ঠিকাদারের লোকজন সম্প্রতি সেতুর উত্তর দিকে বাঁধ দিয়ে নদীর খননকাজ করেন। এরপর পাউবোর একজন প্রকৌশলী গিয়ে সেতুর নিচে ভেকু মেশিন দিয়ে খননকাজ করিয়ে নেন। খনন শেষে বাঁধ কেটে দেওয়ার পর ২১ মার্চ বিকেলে পানি ঢুকে সেতুর ৩ নম্বর পিলারের গোড়া ফেটে নিচে দেবে যায়। সেতুর পিলার ফেটে যাওয়ায় ঠিকাদারের লোকজন ভেকু মেশিন নিয়ে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় ব্যক্তিরা তা আটকে রেখে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে নেন।

তবে পাউবোর জয়পুরহাট কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, সেতুর নিচ থেকে মাটি কাটা হয়নি। বাঁধ কেটে দেওয়ায় পানির তোড়ে পিলার ফেটে নিচে দেবে যায়।

এই পথে চলাচলকারী অটোরিকশাচালক জামিরুল ইসলাম বলেন, বিকল্প রাস্তাটি খুবই নিচু হওয়ায় অটোরিকশা চালাতে বেগ পেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বাড়লে রাস্তাটি ডুবে যাবে। তখন আরও দুর্ভোগ বাড়বে।