সেতুর সংযোগ সড়কে ধস, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

সেতুর সংযোগ সড়কের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের একাংশ ধসে গেছে। এখন সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। সম্প্রতি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঝিনাইগাতী-কুরুয়া নতুন বাজার সড়কের আয়নাপুর এলাকায়।
প্রথম আলো

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার আয়নাপুর এলাকায় সোমেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের একাংশ ধসে গেছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝিনাইগাতী-কুরুয়া নতুন বাজার সড়কের আয়নাপুর এলাকায় সোমেশ্বরী নদীর ওপর ১৮৫ দশমিক ২০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শ হালকা ও ভারী যানবাহন এবং এলাকাবাসী চলাচল করে থাকে। কিন্তু গত বছরের বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবল স্রোতে সেতুর উত্তর-পূর্ব প্রান্তের সংযোগ সড়কের ৩ মিটার অংশ ধসে যায়। এরপর চলতি বছরের জুলাই মাসের অতিবৃষ্টিতে ধসে যাওয়া অংশ থেকে মাটি সরে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করছে।

সেতুর সংযোগ সড়কের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের একাংশ ধসে গেছে। এখন সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। সম্প্রতি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঝিনাইগাতী-কুরুয়া নতুন বাজার সড়কের আয়নাপুর এলাকায়।
প্রথম আলো

উপজেলার কাংশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুল হক বলেন, যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে সেতু ও সড়কে বাতি না থাকায় রাতের বেলায় মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো যানবাহন যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সেতুর সংযোগ সড়কে সৃষ্ট বিশাল গর্তটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে এলজিইডি ঝিনাইগাতীর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, গর্ত ভরাটসহ সেতুর সংযোগ সড়কের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ২২ আগস্ট সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দরপত্র (টেন্ডার) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে।