সেন্ট মার্টিন থেকে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করল প্রশাসন

সেন্ট মার্টিন সৈকত থেকে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার বিকেলে দ্বীপের জেটি ঘাট এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনে অভিযান চালিয়ে দোকানপাট ও শুঁটকি মহালসহ বিভিন্ন ধরনের অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন। এ অভিযান চলমান রয়েছে। এ সময় উচ্চ স্বরে জেনারেটর চালানোর পাশাপাশি খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে তিনটি হোটেল কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন জেটিসংলগ্ন পূর্ব সৈকত এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী। এ সময় অর্ধশতাধিক স্বেচ্ছাসেবক উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সেন্ট মার্টিন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৩ সুপারিশের অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দ্বীপে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালান ইউএনও। একই দিন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীনের নেতৃত্বে পৃথক অভিযানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগে সেন্ট মার্টিনের তিনটি হোটেল কিংশুক, নিঝুম ও গোধূলির মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি একটি কটেজের নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়েছে।

সেন্ট মার্টিন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৩ সুপারিশের অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দ্বীপে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালান ইউএনও।

ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন বলেন, ওই হোটেল তিনটি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে উচ্চ স্বরে জেনারেটর চালানোর পাশাপাশি খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছিল। হোটেল তিনটির কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, সেন্ট মার্টিন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৩ সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সৈকতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি পর্যটকেরা যাতে কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই বিচরণ করতে পারেন, এ জন্য দ্বীপের জেটিঘাট এলাকায় সরকারি খাসজমি অবৈধভাবে দখল করে তৈরি বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ওই এলাকায় গড়ে তোলা ফিশারিজগুলোকে একটি পল্লির মধ্যে আনার কাজও চলছে। মনিটরিং করা হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

গত ২৯ ডিসেম্বর সেন্ট মার্টিন দ্বীপের তিনটি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিল উপজেলা প্রশাসন।