সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া ছয় শতাধিক পর্যটক কক্সবাজারে ফিরেছেন

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী একটি জাহাজ।
ফাইল ছবি

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে গিয়ে আটকে পড়া ছয় শতাধিক পর্যটক চার দিন পর ট্রলার ও জাহাজে করে কক্সবাজার ফিরেছেন। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামে একটি জাহাজে করে সাড়ে চার শতাধিক পর্যটক কক্সবাজারে আসেন। এর আগে বিকেলে পাঁচটি সার্ভিস বোটে দেড় শ পর্যটকক টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছান।

গত বুধবার কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ও টেকনাফ থেকে নৌযানে ভ্রমণে এসে ছয় শতাধিক পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছিলেন। অন্যদিকে সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফে আসা দুই শতাধিক মানুষ আটকা পড়েছিলেন। বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্রে নৌযান বন্ধ থাকায় তাঁরা আটকা পড়েছিলেন।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আব্দুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, রোববার বিকেলে পাঁচটি ট্রলারে করে আটকে পড়া দেড় শ পর্যটক টেকনাফে ফিরেছেন। বাকিরা বিকেলে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজে করে কক্সবাজারের উদ্দেশে সেন্ট মার্টিন ত্যাগ করেন। এ ছাড়া টেকনাফে আটকে পড়া সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারাও ফিরে এসেছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়াসংক্রান্ত সতর্কসংকেত না থাকায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে ট্রলার চলাচল করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে দ্বীপে ভ্রমণে এসে আটকা পড়া দেড় শতাধিক পর্যটক ট্রলারে করে টেকনাফে ফিরে গেছেন।

টেকনাফে ফিরে আসা পর্যটক ঢাকার সাভারের বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, ‘এখনো সমুদ্র কিছুটা উত্তাল আছে। ট্রলারে করে ফিরে আসতে আমাদের ভয়ভীতি কাজ করেছিল। ট্রলারে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া অনেকটা ঝুঁকি ছিল। তবে সবাই নিরাপদে পৌঁছেছি।’