সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকেরা ফিরবেন রোববার

সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকেরা জেটিতে ভিড় করছেন। পাশাপাশি উত্তাল সমুদ্র নিয়ে সেলফি তুলছেন অনেকে। আজ শনিবার দুপুরে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে
প্রথম আলো

কক্সবাজারের পর্যটনকেন্দ্র সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে তিন দিন ধরে আটকে পড়া ছয় শতাধিক পর্যটক আজ শনিবারও ফিরে আসতে পারেননি। তবে আগামীকাল রোববার জাহাজ ও ট্রলারে করে তাঁরা টেকনাফ ও কক্সবাজার ফিরে আসতে পারবেন বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটির সংকেত আজ বিকেলের দিকে তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে আগামীকাল থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে অনুমতিপ্রাপ্ত যাত্রীবাহী ট্রলার ও সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার নৌপথে জাহাজ চলাচলের আর কোনো বাধা নেই। সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকেরা আগামীকাল জাহাজ ও ট্রলারে করে ফিরে আসবেন।

গত বুধবার কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন রুটে চলাচলকারী কর্ণফুলি এক্সপ্রেস ও টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে ট্রলারে করে এসব পর্যটকেরা দ্বীপে ভ্রমণে এসে আটকা পড়েন। সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে কোনো ধরনের নৌযান সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে পারেনি।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আবদুর রউফ বলেন, দ্বীপে ভ্রমণে আসা আটকে পড়া পর্যটকেরা বাজারের দোকানপাট, জেটিঘাট, সমুদ্রসৈকত, ছেরাদিয়া ও হোটেলে-মোটেলে বসে সময় পার করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামীকাল আটকে পড়া পর্যটকদের জাহাজ ও ট্রলারে করে টেকনাফ-কক্সবাজার ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আবদুর রউফ জানান, টেকনাফ উপজেলা সদরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দুই শতাধিক বাসিন্দা আটকে পড়েছেন। তাঁরা চিকিৎসাসহ পারিবারিক নানা কাজে টেকনাফ শহরে গিয়ে সতর্কসংকেতে আটকা পড়েছিলেন।

টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় আজও কোনো ধরনের নৌযান চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্কসংকেত তুলে নেওয়ায় আগামীকাল থেকে পুনরায় কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটের নৌযান চলাচল শুরু হবে।