সেন্ট মার্টিনে ট্রলার থেকে পাঁচ লাখ ইয়াবা বড়ি জব্দ, গ্রেপ্তার ৭

মিয়ানমার থেকে ট্রলারে বাংলাদেশে পাচারের সময় কক্সবাজারের প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন উপকূলে পাঁচ লাখ ইয়াবার আরও একটি বড় চালান জব্দ করেছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। গতকাল শনিবার  দিবাগত রাতে সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে শীলেরকুম এলাকায় একটি ট্রলার তল্লাশি করে ওই ইয়াবার চালান জব্দ করা হয়। এ সময় ইয়াবা বহন করার অভিযোগে সাত রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমার থেকে ট্রলার বোঝাই করে বাংলাদেশে পাচারের সময় ১৩ লাখ ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালানটি জব্দ করেছিলেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। ওই সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমার থেকে ট্রলার বোঝাই করে বাংলাদেশে পাচারের সময় ১৩ লাখ ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালানটি জব্দ করেছিলেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। ওই সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব।
কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, মিয়ানমার থেকে ট্রলার বোঝাই করে ইয়াবার বড় একটি চালান বাংলাদেশে ঢুকছে, এমন খবরের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর তাঁরা দেখতে পান মিয়ানমারের দিক থেকে একটি ট্রলার সেন্ট মার্টিনের দিকে আসছে। বাংলাদেশ জলসীমানায় প্রবেশ করলে কোস্টগার্ডের সদস্যরা ট্রলারটিকে থামার সংকেত দেন। এ সময় ট্রলারটি না থেমে উল্টো গভীর সাগরের দিকে ছুটতে থাকে।

এরপর কোস্টগার্ড ধাওয়া করে সাত মাদক পাচারকারীসহ ট্রলারটি জব্দ করে। পরে ট্রলার তল্লাশি করে পাঁচ লাখ ইয়াবা জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন আবদুস শুকুর, জাহিদ হোসেন, আবদুল মোনাফ, নুর আলম, আমান উল্লাহ, মহরম আলী ও আবদুল পেটাম। তাঁরা মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা।

কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার আমিরুল ইসলাম বলেন, আটক সাত মাদক পাচারকারীকে বিকেলে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।