সৈকতে নামতে গিয়ে ধাক্কার জেরে ঝগড়া, পরে নারী পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সপরিবারে বেড়াতে যাওয়া এক নারী পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাতে র‍্যাবের একটি দল কলাতলী এলাকার একটি রিসোর্ট থেকে তাঁকে উদ্ধারের কথা জানায়।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ওই নারীকে উদ্ধারের পর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ওই নারীকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা হবে।

ওই নারীর স্বামী বলেন, গতকাল সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্ত্রী ও আট মাসের সন্তানকে নিয়ে তিনি কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। বিকেলে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুরতে যান। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় এক যুবকের সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় তাঁর স্ত্রীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে তিনজন তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। তারপর একটি রিসোর্টে নিয়ে স্ত্রীকে আটকে রাখা হয়। পরে দুর্বৃত্তরা কক্ষের দরজা বাইরে থেকে লক করে চলে যায়। এসব ঘটনা যেন কাউকে না জানানো হয়, সে নিয়ে ভয়ভীতিও দেখানো হয়।

ওই নারী বলেন, এক ব্যক্তির সহায়তায় তিনি দরজার লক খোলেন। তখন তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেন। সেখান থেকে বলা হয় থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য। তারপর এক ব্যক্তির সহযোগিতা তিনি কল দেন র‍্যাব-১৫-তে। র‍্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে।

মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। তার পর থেকে ছায়াতদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘একজন নারী পর্যটক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে শুনেছি। থানায় মামলা হলে তদন্ত করে অপরাধীকে ধরার চেষ্টা করব।’