সৈকতে ভেসে এল ৬ ফুটের মৃত ডলফিন

ডলফিনটির শরীরে কোনো ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর গঙ্গামতি সৈকতের তেত্রিশ কানি এলাকায় ছয় ফুট দৈর্ঘ্যের একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যদের সহায়তায় সেটি উদ্ধার করা হয়। এটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

স্থানীয় জেলেরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতের জোয়ারে ডলফিনটি ভেসে এসেছে। ডলফিনটির শরীরে কোনো ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন নেই। এ নিয়ে গত ৯ মাসে কুয়াকাটা সৈকতে ১৩টি মৃত ডলফিন ভেসে এল। শুধু আগস্ট মাসেই এখানে ৯টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। গত বছর কুয়াকাটাসংলগ্ন উপকূলে সাত থেকে আটটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছিল।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির দলনেতা রুমান ইমতিয়াজ বলেন, ‘একের পর এক ডলফিন মারা যাওয়ার খবরে আমরা শঙ্কিত। কয়েক মাস ধরেই মৃত ডলফিন ভেসে আসছে। আমরা ডলফিনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। সমুদ্রের বন্ধুপ্রাণী ডলফিন রক্ষায় কী করা যায়, তা নিয়ে ভাবার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে তিনি ডলফিন উদ্ধারের খবর পেয়েছেন। কী কারণে ডলফিনটি মারা গেছে, এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটি সংরক্ষণ করে মৃত্যুর কারণ বের করতে মৎস্য ও বন বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের সহায়তায় মৎস্য ও বন বিভাগ মৃত ডলফিনটির অন্ত্র বের করে পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে।

ওয়ার্ল্ডফিশের এনহ্যান্সড কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ (ইকো ফিশ-২) অ্যাক্টিভিটির পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি প্রথম আলোকে বলেন, মৃত ডলফিনটির অন্ত্রের একটি অংশ ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে এবং অপর অংশ বন অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডলফিনটির মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।