সৈয়দপুরে আ.লীগের ‘হুমকি–ধমকিতে’ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা বিএনপির

সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন জেলা বিএনপির নেতারা। শুক্রবার জেলা বিএনপির কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে বিএনপির নেতাকে আটক, ভোটার ও কর্মীদের হুমকি, বাড়িতে হামলার অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ধানের শীষের প্রার্থী রশিদুল হক সরকার, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবদুল গফুর সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ওবায়দুর রহমান, জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

ধানের শীষের প্রার্থী রশিদুল হক সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের এক কর্মীর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। সরকারি দলের কর্মীরা হুমকি দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ বাবলুকে সাদাপোশাকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে এবং হুমকি–ধমকি বন্ধ করে ২৮ ফেব্রুয়ারি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি।

সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল গফুর সরকার বলেন, সৈয়দপুরের সিংহভাগ মানুষ উর্দুভাষী। নৌকার সভা–সমাবেশ থেকে তাঁদের প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে, এখানে ব্যবসা–বাণিজ্য করছেন, আগামীতে করতে গেলে নৌকাতেই ভোট দিতে হবে। এভাবে নৌকা প্রতীকের পথসভা থেকে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতারা সবাই একই ভাষায় কথা বলছেন। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ কর্মকর্তাসহ নির্বাচন পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। সেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিলেও বাস্তবে তার বিন্দুমাত্র প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। তাঁরা নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সৈয়দপুরে নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা বেপরোয়া আচরণ করছেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতা ও পার্শ্ববর্তী শহরের নেতাদের ডেকে এখানে পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন, তাঁদের রাত ৮টার মধ্যে সভা শেষ করতে বলা হলেও নৌকার প্রার্থীরা ১৫-১৬টি মাইক লাগিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত সভা করছেন এবং ১০-১২টি পিকআপ আর শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মহড়া দেওয়া হচ্ছে। তবে যতই হুমকি–ধমকি আসুক, গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হোক, শেষ পর্যন্ত বিএনপি মাঠে থাকবে এবং পরিবেশ বিনষ্টকারীদের মোকাবিলা করবে।

অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, সংবাদ সম্মেলন থেকে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিএনপি পরাজয় সামনে দেখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্দে মিথ্যাচার করছে। বিএনপির নেতাকে আটকের বিষয় পুলিশের ব্যাপার বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান বলেন, নিয়মিত মামলার আসামি হিসেবে শেখ বাবলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।