সৈয়দপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত

ছোটন অধিকারী
ছবি: সংগৃহীত

সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে সহিংসতায় ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ওই ব্যক্তির নাম ছোটন অধিকারী (৫৪)। তিনি শহরের ৫নং ওয়ার্ডে মহিলা কলেজ কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম রয়েলের (ব্রিজ প্রতীক) কর্মী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহিলা কলেজ কেন্দ্রের সামনে হঠাৎ দুপুর ১২টার দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীদের কয়েক জনকর্মী বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। ওই কেন্দ্রে নিজেদের প্রাধান্য বিস্তার করতে তাঁরা হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ছোটন অধিকারীর ওপর হামলে পড়েন কাউন্সিলর প্রার্থী মাদেদুর রহমান (উটপাখি) ও আকতার হোসেনের (পাঞ্জাবি) লোকজন। এক অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আজম আলী সরকার। দুজনকেই সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছোটন অধিকারীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আজম আলী সরকারকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নীলফামারী সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটারের সারি। রোববার বেলা সাড়ে ১০টায়।
ছবি: প্রথম আলো

এ নিয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এর আগে সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়ম, কর্মীদের পিটিয়ে ভাগানো ও প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্টের অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম। রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে পৌর শহরে নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।

সিদ্দিকুল আলম বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলে আছি। সরকারের ভালো কাজে সহযোগিতা দিচ্ছি। অথচ এর ফলে সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে আমাদের কর্মীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এ থেকে নারী কর্মীরাও বাদ যাননি। ৪১টি ভোটকেন্দ্র থেকে আমাদের পোলিং এজেন্ট ও কর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন সরকারদলীয় কর্মীদের সহযোগিতা করেছে, তারা পক্ষপাতিত্ব করেছে। যদি একতরফা নির্বাচনই হবে, তাহলে কেন এই নির্বাচনী নাটক?’ এই নির্বাচনকে প্রহসন উল্লেখ করে পুনর্নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সিদ্দিকুল আলমের স্ত্রী ইয়াছমিন আলম, জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সহছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল দিদারসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি বিভিন্ন কেন্দ্রে গেছেন। কিন্তু বিশৃঙ্খলা দেখতে পাননি।

সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এতে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে একজন ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেন।