সোনাগাজীতে নিউমোনিয়ায় শিশুর মৃত্যু

ফেনীর সোনাগাজীতে নিউমোনিয়ায় মারা গেছে ছয় মাসের শিশু ইসরাত জাহান সুমাইয়া
ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর সোনাগাজীতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ইসরাত জাহান সুমাইয়া নামের ছয় মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার সুলাখালী এলাকায় নিজ বাড়িতে শিশুটির মৃত্যু হয়। ইসরাত সুলাখালী এলাকার একরামুল হকের মেয়ে।

শিশুটির বাবা একরামুল হক বলেন, এক সপ্তাহ ধরে ইসরাতের কাশি ও জ্বরের জন্য বাড়িতে রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলছিলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালে ভর্তি না করে গত এক সপ্তাহে তিনবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে মেয়ের জন্য ওষুধ নিয়েছেন। চিকিৎসকেরা শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তির কথা বললেও শিশুর মা বাড়িতে অসুস্থ হওয়ায় ভর্তি করাননি। দু-এক দিন পরপর বাড়ি থেকে নিয়ে এসে চিকিৎসা করিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে বাড়িতে চলে যান। ওষুধ খাওয়ানোর পর গতকাল সকাল থেকে ইসরাতের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। সারা দিন হাসিখুশিতে থেকে মেয়ে রাত একটার দিকে ঘুমের মধ্যে মারা যায়।

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. আরমান বিন আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় ৬৫ শতাংশ শিশুকে সুস্থ করতে হাসপাতালে ভর্তি করে টিকা দিতে হয়। ঋতু পরিবর্তন ও ঠান্ডা-গরমের সময় শিশুদের শুষ্ক, উষ্ণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় রাখাসহ সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে শিশুকে কোলে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ঋতু পরিবর্তন ও ঠান্ডা-গরমে হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত এক মাসে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিন শতাধিক রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে করোনাভীতির কারণে অনেকে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি না করে ওষুধ নিয়ে বাড়িতে চলে যান। তিনি শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।