সোনাগাজীর মুহুরী প্রকল্প এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড়

দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা মুহুরী প্রকল্প এলাকায় আসছেন
ছবি: প্রথম আলো

ঈদের ছুটিতে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মুহুরী সেচ প্রকল্প ও সাহেবের ঘাট সেতু এলাকা দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। ঈদের দিন বিকেল থেকে প্রকল্প এলাকায় বায়ুবিদ্যুৎসহ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সী মানুষ এখানে ছুটে আসছেন।

সরজমিনে দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী এসে মুহুরী প্রকল্প এলাকায় ভিড় করছেন। বিকেলের দিকে পুরো প্রকল্প এলাকা কানায় কানায় ভরে ওঠে। দর্শনার্থীদের কেউ এসেছেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে, আবার কেউ এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। এর মধ্যে অনেক দর্শনার্থীকে সেতু ও বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রের সড়কের পাশে ঘাসের ওপর বসে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। অনেকে নদীতে নৌকা নিয়ে ঘুরে সময় কাটাচ্ছেন।

ফেনী শহর থেকে আসা ইফতেখার উদ্দিন বলেন, যানজটের কারণে প্রতি ঈদে দূরে কোথাও না গিয়ে বন্ধুবান্ধব নিয়ে মুহুরী প্রকল্প এলাকায় ঘুরতে এসেছেন। প্রকল্প এলাকায় নদীর নির্মল বাতাসে তাঁরা আড্ডা দিচ্ছেন।

চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে আসা হোসেন আহাম্মদ বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদে কোথাও ঘুরতে যাননি তিনি। এবার মানুষের মুখে শুনে পরিবার নিয়ে মুহুরী প্রকল্প এলাকায় ঘুরতে এসেছেন। এখানকার খোলামেলা পরিবেশে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। তবে প্রকল্প এলাকায় ভালো মানের একটি খাবার হোটেলসহ মিনি পার্ক থাকলে আরও ভালো হতো বলে মনে করেন তিনি।

মুহুরী প্রকল্প এলাকার ব্যবসায়ী মো. মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই ঈদ আর বিশেষ দিবসগুলোতে মুহুরী প্রকল্প এলাকায় লোকসমাগম বেশি হয়। এতে তাঁদের ব্যবসাও ভালো হয়।

মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহনে চড়ে মানুষ প্রকল্প এলাকায় বেড়াতে আসছেন
ছবি: প্রথম আলো

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মুহুরী প্রকল্প এলাকায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার করাসহ ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুহুরী প্রকল্প এলাকাসহ উপজেলার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হয়েছে।

ফেনী-৩ আসনের সাংসদ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মুহুরী প্রকল্প এলাকায় দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সেতুর পাশে বেশ কিছু ছাউনি নির্মাণসহ বসার জায়গা ও হাঁটাচলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় সৌরবাতি স্থাপন করাসহ সড়কে ফুল ও বিভিন্ন জাতের গাছের চারা লাগানো হয়েছে। প্রকল্প এলাকার সৌন্দর্যবর্ধনে মিনি পার্কসহ আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।