সোনাহাট স্থলবন্দরের প্রস্তাবিত ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা দ্রুত চালুর আশ্বাস

সোনাহাট স্থলবন্দর প্রশাসনিক কার্যালয়ের হলরুমে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাট্টি
ছবি: প্রথম আলো

কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে দ্রুত ইমিগ্রেশন চালু করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাট্টি। একই সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানিতে যেসব সমস্যা আছে সেগুলোও দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার দুপুরে সোনাহাট স্থলবন্দর প্রশাসনিক কার্যালয়ের হলরুমে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সঞ্জীব কুমার ভাট্টি এ কথা জানান। স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকীব আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুন্নবী চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব, রাজস্ব কর্মকর্তা তাপস কুমার দেব রায়, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিনসহ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে স্থলবন্দরে প্রস্তাবিত ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা দ্রুত চালু করা; প্রতিদিন সর্বোচ্চসংখ্যক (৫০০টি) ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করা; বন্দরের জিরো পয়েন্টে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের আলাপচারিতা ও কাগজপত্র আদান–প্রদানের সুযোগ দেওয়া; বাংলাদেশের পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে প্রবেশের সময় হয়রানি বন্ধ করা; ব্যবসায় ভিসাপ্রাপ্তি সহজ ও ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ বছর করাসহ ব্যবসায়ীরা তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

এক প্রশ্নের জবাবে সঞ্জীব কুমার ভাট্টি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত অকৃত্রিম বন্ধু। সোনাহাট স্থলবন্দরটি দুই দেশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য দুই দেশের স্থলবন্দরগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত সরকার। বন্দরের যেসব সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।