সৌমেনের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি জানত না তাঁর পরিবার

কুষ্টিয়ায় শিশুসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের কাস্টমস মোড়ে এ ঘটনা ঘটে
ছবি: তৌহিদী হাসান

কুষ্টিয়ায় গুলি করে স্ত্রী আসমা খাতুন, তাঁর ছয় বছর বয়সী ছেলে রবিন ও শাকিল নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়।

অভিযুক্ত সৌমেনের গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলায়। সেখানে তাঁর পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত আসমা খাতুনের সঙ্গে সৌমেনের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি তাঁর পরিবার বা শ্বশুরবাড়ির পরিবারের কেউ জানত না।

এদিকে তিনজনকে গুলি করে হত্যার পর সৌমেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌমেন বলেছেন, নিহত যুবক শাকিলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। তাই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত।

এএসআই সৌমেন রায়ের ভাই প্রথম আলোকে বলেন, সৌমেন পারিবারিকভাবে ২০০৫ সালে পাশের গ্রামে বিয়ে করেন। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি খুলনায় থাকেন। সেই স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারীর সঙ্গে সৌমেনের বিয়ের বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না। তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়টি আমরা খবরে দেখেই প্রথম জেনেছি। এমনকি বিষয়টি সে তার স্ত্রীকেও জানায়নি। আমরা সবাই আজ প্রথম জানলাম। আমাদের ধারণা, কুষ্টিয়ায় কর্মরত অবস্থায় হয়তো আসমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় সে।’ সৌমেনের ভাই জানান, অল্প বয়সে বাবা মারা যাওয়ার পর সৌমেনের হাত ধরে তাঁদের দরিদ্র পরিবারটি ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।

সৌমেনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁর বাবা অনেক বছর আগে মারা যান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সৌমেন মেজ। পুলিশের চাকরি পাওয়ার পর ২০০৫ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। সেই পরিবারে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়ে ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি ছেলে রয়েছে।

সৌমেনের শ্বশুর প্রথম আলোকে জানান, তাঁর মেয়ের সঙ্গে সুখের সংসার ছিল সৌমেনের। তবে দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না তাঁদের।