একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

স্কুলছাত্র মফিজুল ইসলাম বাপ্পীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পুলিশের হেফাজতে। বুধবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে
সংগৃহীত

খুলনা নগরের খালিশপুরে প্লাটিনাম জুট মিলস স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মফিজুল ইসলাম বাপ্পীকে (১৬) পিটিয়ে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজন আসামি উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক আছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মো. রকি (৩২)। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন মো. নজরুল (৩৩), মো. রবিউল (২৮), মো. আল আমিন (২৮), মো. মিলন (৩০) ও মুজিব হাওলাদার (২৮)। খালাস পাওয়া দুজন হলেন ইব্রাহিম ওরফে বাহাদুর (৩০) ও মো. হাসান (৩৩)। তাঁরা সবাই খালিশপুরে প্লাটিনাম জুট মিলস কলোনি এলাকার বাসিন্দা।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনা জেলা শাখা প্রথম থেকেই ওই মামলায় আইনি সহায়তা দিয়ে আসছিল। সংস্থাটির আইনজীবী মো. মোমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্লাটিনাম স্কুলের মাঠে বাপ্পী তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। আগের শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা বাপ্পীর বন্ধু রাজুর ওপর হামলা করে। বন্ধুকে বাঁচাতে বাপ্পী তাদের বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত বাপ্পীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে রাতে তার মৃত্যু হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ বলেন, স্কুলছাত্র বাপ্পী হত্যার ঘটনার পরদিন তার ভাই হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আসামি রকি ও নজরুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। ২০১২ সালের ৩১ মার্চ আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ হত্যা মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।