ধর্ষণের পর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

কুমিল্লার দেবীদ্বারে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে কুমিল্লার একটি আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওই যুবকের নাম মো. ফয়েজ উল্লাহ (২৩)। তিনি উপজেলার একটি কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ভুক্তভোগী শিশুটির পূর্বপরিচিত। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে ওই রাতেই ওই ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফয়েজ উল্লাহকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ফয়েজ উল্লাহ ধর্ষণের ঘটনাটি তাঁর মুঠোফোনেও ধারণ করেছিলেন। এরপর তিনি ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেবীদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম বলেন, মামলার আসামি ও ভুক্তভোগী শিশুকে আদালতে আনা হয়েছে। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও শিশুর ২১ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মে দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে আসামি ফয়েজ উল্লাহ ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে তাঁর নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরদিন বেলা একটার দিকে ওই একই ঘরে আবার শিশুটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। ওই দিন ফয়েজ উল্লাহ তাঁর মুঠোফোনে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে তিনি তাঁর একাধিক বন্ধুকে সেই ছবি ও ভিডিও ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠান। এর সূত্র ধরে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি ওই ছাত্রীর কাছে জানতে চাইলে সে তাদের বলে, ফয়েজ উল্লাহ তাকে ধর্ষণ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে ফয়েজ উল্লাহকে আসামি করে মামলা করেন।
গতকাল মধ্যরাতেই দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার মামলার আসামিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। আসামি আজ থানায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।