স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ, পুলিশ সদস্য আটক

প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের শরণখোলার তাফালবাড়ী বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক গৃহবধূর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই লাশের মাথা ও দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

ওই গৃহবধূর নাম জোৎস্না বেগম (৩৫)। তিনি শরণখোলা থানার কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। জ্যোৎস্না হত্যার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাদ্দামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়ধাল গ্রামে। তিনি শরণখোলা থানার তাফালবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন এবং তাফালবাড়ি বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খুলনার রূপসা উপজেলার জ্যোৎস্না বেগমকে বিয়ে করেন সাদ্দাম। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্ত্রীকে হত্যার পর লাশটি বস্তাবন্দী করে গুম করে পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন সাদ্দাম।

এ বিষয়ে শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রাতে সাদ্দামের ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের ধারণা জ্যোৎস্না বেগমকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হত্যা করা হয়। হত্যার পর জ্যোৎস্নার দুই হাতের কবজি ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে গুমের উদ্দেশ্যে লাশ বস্তাবন্দী করে ঘরে লুকিয়ে রাখা হয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।