‘স্ত্রীর ধাক্কায়’ অটোরিকশা থেকে পড়ে গাড়িচাপায় নিহতের পরিচয় মিলেছে

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঝগড়ার একপর্যায়ে ‘স্ত্রীর ধাক্কায়’ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে সড়কে পড়ে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় নিহত ব্যক্তির পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির নাম ইয়াসিন দুলাল (২৭)। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই অটোরিকশায় আয়েশা নামের এক নারী ছিলেন। যিনি ইয়াসিনের সাবেক স্ত্রী ও রাজধানীর একটি হাসপাতালের নার্স।

লাশ
প্রতীকী ছবি

নিহত ইয়াসিন বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর বাহেরচর গ্রামের মো. বারীর ছেলে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি জানান, নিহত ব্যক্তির পকেটে থাকা একটি ব্যাংকের চেকের সূত্র ধরে এ পরিচয় পাওয়া গেছে। আয়েশাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আয়েশার গ্রামের বাড়িও একই এলাকায়।

মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, ইয়াসিন দুলাল ২০১৫ সাল থেকে ফতুল্লায় একটি মুঠোফোন কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছর সেপ্টেম্বরে ইয়াসিন করোনায় আক্রান্ত হন। তখন একই এলাকার (গ্রামের বাড়ি) ওই নার্স তাঁকে সেবা করেন। পরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং তাঁরা বিয়ে করেন। মেহেদী ইমরান জানান, এটি আয়েশার প্রথম বিয়ে নয়। তিনি বিচ্ছেদপ্রাপ্ত ছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী ইমরান আরও বলেন, বিয়ের পর থেকে ইয়াসিন ও আয়েশার মধ্যে কলহ শুরু হয়। কয়েক মাস আগে স্থানীয়ভাবে সালিসে বসে আয়েশাকে তালাক দেন ইয়াসিন। এরপর গত এপ্রিলে ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গিয়ে ইয়াসিন আরেকটি বিয়ে করেন। ঘটনার দুদিন আগে কর্মস্থল ফতুল্লা মডেল থানাসংলগ্ন ওই মুঠোফোনের অফিসে আসেন ইয়াসিন।

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ভুঁইঘর কড়ইতলা এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ওই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও অটোরিকশার চালকের ভাষ্য, ওই দুই নারী-পুরুষ উপজেলার শিবু মার্কেট থেকে সাইনবোর্ড যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠেছিল। পথে দুজনের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়।

একপর্যায়ে নারীর ধাক্কায় ওই ব্যক্তি সড়কে পড়ে যান। এ সময় পেছন থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই ওই নারী ও কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন