স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাদা হাওলাদারের এক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হামলার শিকার মো. বেল্লাল হোসেনের (২৮) মা মোসা. সেতারা বেগম (৬৮) বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।

মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মঞ্জু (৩৫), মো. করিম (৩৬), মো. ইউনুচ (৩৫) ও মো. রবিউল (১৯)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ওই ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের কর্মী–সমর্থক বলে জানা গেছে।

বেল্লালের মা সেতারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, নৌকার কর্মী-সমর্থকদের এলাকায় তাণ্ডবের কারণে তাঁর ছেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এরপরও গতকাল রাতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার দিকে মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের কর্মী মো. কাবিলার (৩৫) নেতৃত্বে ৬০-৬৫ জনের একটি দল বেল্লাল হোসেনের বাড়িতে ঢুকে টিভি, রেফ্রিজারেটর, খাটসহ অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর করেন। এরপর সেগুলো এক জায়গায় স্তূপ করে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন পানি ঢেলে আগুন নেভায়।

মো. শাহজাদা হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কমপক্ষে ২০০ কর্মী-সমর্থক এলাকাছাড়া। গত নির্বাচনে আমিও তাঁকে (কামাল হোসেন) পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছিলাম। তখন তো কাউকে পালাতে হয়নি।’

অভিযোগের বিষয়ে কামাল হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বেল্লাল তাঁর অনেক কর্মীকে অত্যাচার–নির্যাতন করেছেন। এতে অনেকে পঙ্গু হয়েছে। এরপরও তিনি তাঁর নেতা-কর্মীদের শান্ত রেখেছিলেন। কিন্তু বেল্লাল নির্বাচনের পর ফেসবুকে উত্তেজনামূলক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এ কারণে তাঁর কিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর অন্য কর্মীরাই বিক্ষুব্ধ কর্মীদের থামিয়েছে।

বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গতকাল রাত পর্যন্ত গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

এর আগে গত শনিবার রাতে নৌকার কর্মীরা শাহজাদা হাওলাদারের আরেক কর্মী মো. ইব্রাহিম হোসেনের মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমাণ মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছিল।