স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আটক পিআইও কারাগারে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরার (ইউএনও) স্বাক্ষর জাল করে সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত শুক্রবার তাঁকে আটক করা হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটির তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

এর আগে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাঁর স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত শুক্রবার বিকেলে থানায় একটি অভিযোগ দেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন রাত ১১টায় পিআইও মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলামকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পিআইও মাসুদুল ইসলাম ইউএনওর স্বাক্ষর জাল করে দুর্যোগ–সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ছয়টি চেকের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক মাধবপুর শাখা থেকে উত্তোলন করেন। এ চেকে ইউএনওর স্বাক্ষর জাল ছিল। তা ছাড়া টিআর ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির ব্যাংক হিসাবেও কাজের অনুপাতে উত্তোলিত অর্থের গরমিল পাওয়া যায়। বিষয়টি সম্প্রতি ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরার নজরে আসলে তিনি গত শুক্রবার বিকেলে মাধবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ চুনারুঘাট উপজেলা সদর থেকে পিআইও মাসুদুল ইসলামকে আটক করে। তিনি তিন বছর ধরে মাধবপুর উপজেলায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি জামালপুর জেলায়।

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ইউএনওর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পিআইওকে আটক করা হয়। তবে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল শনিবার হবিগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক সরকারি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি দুদকের আওতাভুক্ত। তাই দুদককে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আজ রোববার এ–সংক্রান্ত নথি দুদককে পাঠানো হয়েছে।

ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরা প্রথম আলোকে বলেন, দুর্যোগ–সহনীয় ঘর নির্মাণ প্রকল্পের ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা তিনি তাঁর স্বাক্ষর জাল করে উঠিয়েছেন। এ ছাড়া সরকারি আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পেও নানা গরমিল রয়েছে। তা তদন্তে বের হয়ে আসবে মোট কত টাকা আত্মসাৎ তিনি করেছেন।

এ বিষয়ে দুদক হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

আরও পড়ুন