স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে অমত, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে আজ বুধবার কাঁথায় মোড়ানো অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে মত না দেওয়ায় তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওই গৃহবধূর নাম পারভীন আক্তার (২৪)। তিনি রাজনগর গ্রামের আবদুল খালেকের স্ত্রী। আবদুল খালেক ইটভাটার শ্রমিক। ৮ বছর আগে পারভীনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি মেয়ে আছে। পারভীন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ওই গৃহবধূকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওই গৃহবধূকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মো. আসাদুজ্জামান, ওসি, সাতক্ষীরা সদর থানা

পারভীনের ভাই হাজীপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি আবদুল খালেক এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আবদুল খালেক ওই নারীকে বিয়ে করতে চান। এ জন্য তিনি পারভীনের মত চান। পারভীন এতে আপত্তি করেন। এ নিয়ে দুই-তিন মাস ধরে তাঁদের বিরোধ চলছিল। পারভীনকে প্রায়ই মারধর করতেন আবদুল খালেক। এর জের ধরে আজ ভোরে পারভীনকে নির্যাতনের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন আবদুল খালেক। এরপর পারভীনের শরীরে কাঁথা চাপা দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে কাজ করতে যান আবদুল খালেক।

লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আজিজুল ইসলাম, কলেজশিক্ষক মফিজুল ইসলাম ও একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে ওই দম্পতির মেয়ের কান্না শুনে তাঁরা বাইরের দিক তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। তাঁরা পারভীনকে কাঁথায় মোড়ানো অবস্থায় পান। পারভীনের গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধের মতো দাগ দেখা যায়। এরপর তাঁরা খালেককে ধরে এনে থানায় খবর দেন।