স্বামীর ফোন পেয়ে বাইরে যাওয়া নারীর লাশ মিলল খেতে

প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের ফসলি জমি থেকে নাসিমা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর বাবার পরিবারের অভিযোগ, নাসিমাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন তাঁর স্বামী জাকির হোসেন (৫০)।

শনিবার সকাল আটটায় চম্পকনগর গ্রামের ফসলি জমি থেকে উদ্ধার করা লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হোমনা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে চম্পকনগর গ্রামের ওয়াহাব আলীর মেয়ে নাসিমা আক্তারের সঙ্গে মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ফুল্লাকান্দি গ্রামের জাকির হোসেনের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। শুক্রবার সকালে স্বামী জাকির হোসেন টাকার জন্য স্ত্রী নাসিমাকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে নাসিমা স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে দুপুরে বাবার বাড়ি চম্পকনগরে চলে যান। বাবার বাড়ির লোকজন তাঁকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিত্সা দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন।

রাত ১০টার দিকে স্বামী জাকির হোসেন ফোন করে নাসিমা আক্তারকে বাড়ি থেকে বের হতে বলেন। বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর নাসিমার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। শ্বশুরবাড়িতেও খোঁজ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। শনিবার সকাল আটটার দিকে বাড়ির পাশের জমিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী খবর দিলে তাঁরা সেখানে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে দুই সন্তানসহ জাকির হোসেনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। জাকির হোসেন টাকাপয়সার জন্য প্রায়ই নাসিমাকে মারধর করতেন বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন।

হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল করিম বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর জাকির হোসেন দুই সন্তান নিয়ে পালিয়ে গেছেন।