গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামীর দাবি ধানখেতে পড়ে ছিল লাশ

নিহত
প্রতীকী ছবি

মাগুরায় স্বামীর বাড়ি থেকে সুমি বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুমির বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন স্বামীর বাড়ির লোকজন। তবে নিহতের স্বামীর দাবি, গভীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁর স্ত্রী। আজ মঙ্গলবার সকালে মাগুরা সদর উপজেলার কুশাবাড়ি গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে বাড়ি আনেন তিনি।

নিহত সুমি বেগম পাশের গ্রাম ছোট ফালিয়ার বাসিন্দা বশির বিশ্বাসের মেয়ে। প্রায় আট বছর আগে কুশাবাড়ি গ্রামের মো. আল আমীন মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। এই দম্পতির পাঁচ ও তিন বছরের দুটি সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী আল আমীন মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

সুমির বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন স্বামীর বাড়ির লোকজন।

মাগুরা সদর থানা-পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের স্বামী আল আমীন মোল্লা পুলিশকে জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি হঠাৎ দেখেন, তাঁর স্ত্রী বিছানায় নেই। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ভোররাতে বাড়ির পাশে একটি ধানখেতে স্ত্রী সুমির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর আল আমীন মোল্লা নিজেই মরদেহ তুলে এনে বাড়িতে রাখেন। পরে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

লাশ যেখানে পাওয়া গেছে, সেখানে যদি কেউ তাঁকে হত্যা করে থাকে, তাহলে তো ধস্তাধস্তি হবে। সেখানে এ ধরনের কোনো চিহ্ন নেই। এ ছাড়া বিয়ের পর থেকেই স্বামীর বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে মারধর-অত্যাচার করে আসছিলেন।
মো. ওহিদুজ্জামান, নিহত সুমির চাচা

সুমির চাচা মো. ওহিদুজ্জামান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা সুমির স্বামীর কথা বিশ্বাস করেন না। সুমিকে বাড়িতেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ধানখেতে ফেলে রাখা হয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। তিনি বলেন, লাশ যেখানে পাওয়া গেছে, সেখানে যদি কেউ তাঁকে হত্যা করে থাকে, তাহলে তো ধস্তাধস্তি হবে। সেখানে এ ধরনের কোনো চিহ্ন নেই। এ ছাড়া বিয়ের পর থেকেই স্বামীর বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে মারধর-অত্যাচার করে আসছিলেন।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তারেক আল মেহেদী প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে করা হচ্ছে। এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না কারা জড়িত। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমি বেগমের স্বামীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।