স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে মারধর, গ্রেপ্তার ১

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শুভ্রা রাণী দেবনাথকে মারধর করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিজ কার্যালয়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) আবু তৌহিদ তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় শুভ্রা রাণী বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত আবু তৌহিদকে গ্রেপ্তার করেছে।

আবু তৌহিদ মনিরামপুর উপজেলার নোয়ালী পারখাজুরা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। তিনি উপজেলার রাজগঞ্জ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত।

শুভ্রা রাণী দেবনাথ বলেন, রোববার সকালে নিজ কার্যালয়ে ছিলেন তিনি। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে সেখানে আসেন আবু তৌহিদ। রাজগঞ্জ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক সুমন গুপ্ত অসুস্থ হয়ে খুলনায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। সে কারণে সেকমো আবু তৌহিদের সেখানে ডিউটি করার কথা। তিনি এ সময় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ছেড়ে কেন এখানে এসেছেন, তা জানতে চেয়েছেন। এর কোনো উত্তর না দিয়ে আবু তৌহিদ হাতে থাকা একটি তালা তাঁর দিকে ছুড়ে মারেন। তিনি তাঁকে (শুভ্রাকে) গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে আবু তৌহিদ তাঁকে চড়-থাপ্পড় ও ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় তৌহিদকে থামান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়িচালক আবু মুসা ও উপস্থিত চিকিৎসকেরা।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আবু তৌহিদকে মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীরা। খবর পেয়ে পরে পুলিশ সেখানে হাজির হয়ে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি কাজে বাধাদান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় আবু তৌহিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, খবর পেয়ে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন। আবু তৌহিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।