স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো সংস্কার করছেন গ্রামবাসী

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় একটি সাঁকো গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করছেন। গত সোমবার বড়কান্দি ইউনিয়নের ডুবুলদিয়া এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় একটি সাঁকো গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করছেন। গত সোমবার বড়কান্দি ইউনিয়নের ডুবুলদিয়া এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ডুবলদিয়া-হাওলাদারকান্দি-আকনকান্দি সড়কে খালের ওপরের বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পড়ে ছিল। স্থানীয় প্রশাসন দীর্ঘদিন সাঁকোটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে তা সংস্কার করছেন। 

জাজিরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন বলেন, বড়কান্দি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম ডুবলদিয়া, হাওলাদারকান্দি ও আকনকান্দি। শরীয়তপুর-ঢাকা সড়ক থেকে ওই গ্রাম তিনটিতে যাতায়াত করার জন্য একটি কাঁচা সড়ক রয়েছে। গত বছর গ্রামবাসী ওই সড়কটি স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেন। ওই সড়কটির একটি অংশে খাল রয়েছে। খালের ওপর সাঁকো দিয়ে গ্রামবাসী যাতায়াত করতেন। গত বছর সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত হওয়ায় গ্রামবাসী বাঁশের ওই সাঁকোটির প্রস্থ বাড়ান। ফলে এর ওপর দিয়ে রিকশাভ্যান চলাচল শুরু করে। তখন বড়কান্দি ও পালেরচর ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের লোকজন এই সড়ক ব্যবহার করতেন। কিন্তু এক বছর পর চলতি বছরের মে মাসে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। 

হাওলাদারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা জুলহাস আকন বলেন, সাঁকোটি ২০ বছরের পুরোনো। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কখনো এটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি। গ্রামবাসীকেই তাঁদের প্রয়োজনে সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী রাখতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় হওলাদারকান্দি ও আকনকান্দি গ্রামের বাসিন্দারা গত সোমবার থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকোটি সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন। 

আবদুর রহমান বলেন, বাড়িতে যখন আসেন, তখন গ্রামের মানুষের চলাচলের কষ্ট দেখে তাঁর খারাপ লাগে। তাই গ্রামের কিছু মানুষ নিয়ে নিজে সাঁকো সংস্কারের কাজে নেমে পড়েছেন। অনেকে টাকা, কেউ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সহায়তা করছেন। 

স্থানীয় লোকজন বলেন, এই সাঁকো না থাকলে তাঁদের কাজিরহাট খাল হয়ে নৌপথে চলাচল করতে হতো। এতে এক ঘণ্টা বেশি সময় লাগত শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কে উঠতে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ডুবলদিয়া, হাওলাদারকান্দি ও আকনকান্দি গ্রামের সড়কটি দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সেতু নির্মাণ করা হবে।