স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন দক্ষ কর্মী ও সৎ মানুষ

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পাবনায় স্যামসন এইচ চৌধুরীর নবম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে পাবনা প্রেসক্লাব। মঙ্গলবার পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে
ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীতে অনেক মানুষ শূন্য থেকে বড় হয়েছেন। এর মধ্যে স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি একদিকে ছিলেন দক্ষ কর্মী, অন্যদিকে সৎ মানুষ। দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ইতিহাসের একটি নাম হয়ে আছেন। নতুন প্রজন্মের জন্য এই ইতিহাস সংরক্ষণ প্রয়োজন।

দেশবরেণ্য শিল্পপতি ও স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাব এ স্মরণসভার আয়োজন করে।

সকালে জেলা সদরের বৈকুণ্ঠপুরে প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর সমাধিতে পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা। পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কলাম লেখক রণেশ মৈত্র, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক ও প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর ছোট ছেলে অঞ্জন চৌধুরী, পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সাইফুল আলম চৌধুরী, পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ প্রমুখ।

রণেশ মৈত্র তাঁর বক্তব্যে বলেন, স্যামসন এইচ চৌধুরী কোনো দিন কোনো কাজে ফাঁকি দেননি। নিজের দক্ষতা ও সততা দিয়ে প্রতিটি কাজ করেছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করে ইতিহাস হয়ে আছেন। নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ দিতে এই ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রকাশ করা প্রয়োজন।

স্যামসন এইচ চৌধুরী ১৯২৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের আরওয়াকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালে তিনি বাবার সঙ্গে পাবনার আতাইকুলাতে আসেন। ১৯৫৮ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে স্কয়ার ফার্মা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তাঁর ব্যবসায়ী জীবন শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন স্কয়ার গ্রুপ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি এ গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি ৮৬ বছর বয়সে তিনি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান।