সৎভাইকে গলা কেটে হত্যার পর সীমান্তে পালিয়ে গেলেন ভাই

লাশ
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাদক ও পারিবারিক বিরোধে সৎভাইকে গলা কেটে হত্যার পর সীমান্তের ওপারে পালিয়েছেন এক ভাই। আজ রোববার সকাল সোয়া সাতটার দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তঘেঁষা দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম ফামিদ হোসেন (৪০)। তিনি জামালপুর গ্রামের আবদুস সাত্তার ওরফে নান্দু মণ্ডলের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জামালপুর গ্রামটি ভারতের পশ্চিবঙ্গের সীমান্তঘেঁষা। গ্রামের অনেকের মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বিরোধও আছে। আজ সকালে ফামিদ বাড়ির পাশে জনৈক এনামুল হকের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে তাঁর সৎভাই মিলন আলী মাংস কাটার দা দিয়ে ফামিদের ঘাড়ে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর মিলন আলী দা নিয়ে সীমান্তের শূন্যরেখার মাঠের মধ্যে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফামিদের লাশ উদ্ধার করে।

দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ফামিদ ও মিলন দুজনই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক ব্যবসাসংক্রান্ত ঝামেলা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মিলনকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ফামিদ হত্যা মামলায় ভারতে ১৪ বছর কারাভোগের পর ২০১৯ সালে দেশে ফিরে আসেন। বাড়িতে আসার পর আবারও মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে।