সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কের নামকরণের দাবি

নেত্রকোনার কলমাকন্দায় ইজিবাইকের ধাক্কায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ খানের নামে একটি সড়কের নামকরণের দাবি জানিয়েছে এলাকবাসী। আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ সমাবেশ
প্রথম আলো

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ খান (৮৪) নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তাঁর নামে একটি সড়কের নামকরণের দাবি জানানো হয়েছে। দুপুরে উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের পাগলাবাজার এলাকায় এলাকাবাসীর ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশের আগে বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। এ সময় পাগলাবাজারের ভেতর দিয়ে যাওয়া প্রায় ১১ কিলোমিটার পাবই-সিধলী সড়কটি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদের নামে নামকরণের দাবি জানান এলাকাবাসী।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুলতান আহমেদ খান গত বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কলমাকান্দার পাগলাবাজারে নিজ বাসার সামনে হাঁটছিলেন। এ সময় একটি ইজিবাইক তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মাথায় ও শরীরে প্রচণ্ড আঘাত পান। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ওই দিন রাতেই ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আইসিইউ খালি না থাকায় সুলতান আহমেদকে পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার ভোরে মারা যান তিনি।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পাগলাবাজারের ভেতর দিয়ে যাওয়া প্রায় ১১ কিলোমিটার পাবই-সিধলী সড়কটি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদের নামে নামকরণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
নেত্রকোনার কলমাকন্দায় ইজিবাইকের ধাক্কায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ খানের নামে একটি সড়কের নামকরণের দাবি জানিয়েছে এলাকবাসী। আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ সমাবেশ
প্রথম আলো

সুলতান আহমেদ খান উপজেলার কনুড়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা–পরবর্তী সময়ে কৈলটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম মাহমুদুল হক জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ খানকে যে ইজিবাইকটি চাপা দিয়েছিল, সেটির চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ বছরের এক কিশোর। ঘটনার পর তাকে আটক করা হয়। কিন্তু নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্করা যাতে সড়কে কোনো ধরনের যানবাহন চলাতে না পারে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কৈলাটি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার। সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য দুর্জয় আহমেদ। বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদের ছেলে আতাউর রহমান খান, আরেক ছেলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কৈলাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সিধলী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।