সড়কের পাশে চালকের হাত বাঁধা লাশ, অটোরিকশার হদিস নেই

লাশ
প্রতীকী

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় হাত বাঁধা অবস্থায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকায় ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর অটোরিকশাটির কোনো খোঁজ নেই।

লাশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম সোহেল মিয়া ওরফে বদন খন্দকার (৩৫)। তিনি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার মাইজপাড়া মহল্লার আবদুল হান্নানের ছেলে। তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। পরিবারের ভাষ্য, সোহেলকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোহেল প্রায় ১৫ বছর ধরে পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কয়েক বছর ধরে তিনি কুলিয়ারচরের দাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে একই উপজেলার ডুমরাকান্দা সড়কে অটোরিকশা চালিয়ে আসছিলেন। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তিনি বের হয়ে যান। রাতে আর বাড়িতে ফেরেননি। বুধবার সকালে হাত বাঁধা অবস্থায় সড়কের পাশে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

সোহেলের চাচাতো ভাই মো. রিপন। তিনিও অটোরিকশার চালক। তিনি বলেন, সোহেলের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দুপুরে কথা হয়েছে। বিকেলেও যোগাযোগ ছিল। মূলত রাত আটটার পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর থেকে মোবাইল ফোনে কল যাচ্ছিল, কিন্তু কেউ ধরছিলেন না।

ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, হাত বেঁধে সোহেলকে হত্যা করা হয়েছে। মুখেও আঘাতের চিহ্ন আছে। ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার হদিস পাওয়া যায়নি।