হংকংয়ে হামলায় আহত প্রবাসী, পরিবারের সংবাদ সম্মেলন গোপালগঞ্জে

হংকংয়ে প্রবাসীকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন। আজ রোববার গোপালগঞ্জ সদরের উরফি ইউপি কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

হংকংয়ে বসবাসরত এক বাংলাদেশি দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়ে প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানিয়েছে পরিবার। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় গাজী কামাল (৫০) নামের ওই প্রবাসীকে দুই বাংলাদেশি হংকংয়ে কুপিয়ে আহত করেছেন বলে তারা অভিযোগ করেছে।

হামলার ঘটনায় আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জ সদরের উরফি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পরিবার ও স্বজনেরা। সংবাদ সম্মেলন থেকে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হংকংপ্রবাসী গাজী কামালের বড় ভাই গাজী অলিয়ার রহমান। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর ছোট ভাই গাজী কামাল সাত বছর ধরে সপরিবার বৈধভাবে হংকংয়ে বসবাস করছেন। সম্প্রতি সেখানে বসবাসকারী বাংলাদেশের সিলেটের গোলাপগঞ্জের মধ্যনগর গ্রামের আকুল মিয়ার ছেলে শাওন আহমেদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুন্সেফপাড়ার নওয়াব আলী চৌধুরীর ছেলে আরিফ চৌধুরী ওরফে মোমিন তাঁর কাছে দুই লাখ ডলার চাঁদা দাবি করেন।

তাঁদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে হংকংয়ের প্রিন্সেসওয়াট সেভেন ইলেভেন শপের সামনে শাওন ও আরিফের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গাজী কামালকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হংকংয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন গাজী কামাল।

গাজী অলিয়ার রহমান আরও বলেন, আরিফ চৌধুরী ও শাওন আহমেদ একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ। হংকংয়ে তাঁরা নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাঁর ভাইকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার পর বাংলাদেশের কিছু অনলাইন পোর্টাল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় খবরটি প্রকাশিত হয়। এতে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও গাজী কামালকে অপহরণের চেষ্টা চালান। কিন্তু হংকং পুলিশের চেষ্টায় তাঁরা ব্যর্থ হন।

এ ব্যাপারে গাজী কামাল হংকংয়ে পুলিশের কাছে ওই দুই সন্ত্রাসী সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। শাওন আহমেদ পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।